বিনোদন ডেস্ক, ০৬ এপ্রিল ২০২৩ইং ২০২৩ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি)তে কর্মরত ২২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী তিন মাসের আটকে থাকা বেতনের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সম্মলিতভাবে তারা আন্দোলনের মাধ্যমে বেতনের দাবি তোলেন এবং স্লোগান দেন। এরপর দলবদ্ধভাবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুজহাত ইয়াসমিনের কার্যলয়ে এবং বেতন-ভাতার দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন।
কর্মচারী শ্রমিকলীগের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বেতনের দাবি নিয়ে আমরা এমডিকে স্বারকলিপি দিয়েছি। তিনি আমাদের পক্ষে আছেন। আগামী সপ্তাহের মধ্যে একটা বিহিত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।’
এদিন এফডিসির ক্যান্টিনের সামনে জড়ো হওয়া কর্মীরা জানান, বেতন-ভাতা না হওয়ার কারণে রমজান মাসে ন্যূনতম চাহিদাও পূরণ করতে পারছেন না তারা। কেউ কেউ শুধু পানি খেয়েও রোজা রাখছেন। কেউ ইফতারের জন্য খেজুরও কিনতে পারছেন না। ঘনিয়ে আসছে ঈদ। এর আগে বেতন-ভাতার সংকট না কাটলে আনন্দ তো দূরের কথা, ঈদ তাদের কাছে আক্ষেপ ও দীর্ঘশ্বাসের কারণ হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এফডিসির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন সরকারের পক্ষ থেকে আসে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান হলেও এর বেতন-ভাতা আসে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। কিছু দিন আগে সেখান থেকে আসা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, নিজস্ব আয় দিয়ে চলতে। এতেই বিপাকে পড়েন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। কারণ বহু বছর ধরেই এফডিসির আয়-রোজগারের অবস্থা নাজুক।
এদিকে এমন অবস্থার মধ্যেও নির্বিকার-নিশ্চুপ রয়েছেন এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন। কর্মীদের আন্দোলনের সময় নিজ অফিস কক্ষে থাকলেও গণমাধ্যমের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে রাজি হননি। এছাড়া মুঠোফোনে কল দিয়েও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে এফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়ার বলেন, ‘এমডি থেকে একেবারে পরিচ্ছন্নতাকর্মী, সবার বেতন বন্ধ। এখন এমডি স্যার কী করবেন, তার তো হাত-পা বাঁধা। তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন, কিন্তু তারা টাকা দেয়নি।’
এর আগে গত ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস প্রসঙ্গে এক আলাপে হিমাদ্রি বড়ুয়া জানান, বর্তমান সময়ে এফডিসির মাসিক আয় ৪০-৪৫ লাখ টাকা। এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই টাকা দিয়ে তো আমাদের সবার বেতন হবে না। এফডিসির মাসে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মতো খরচ। আমরা অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছি মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ আনার জন্য। কিন্তু তারা সাড়া দিচ্ছেন না।’
Leave a Reply